কারওয়ানবাজারে ইলিশের দাপটে অন্য মাছের দামে ভাটা

রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশ আসছে প্রচুর পরিমাণে। দামও কমেছে আগের চেয়ে। ইলিশের বাড়তি সরবরাহের কারণে অন্যান্য মাছের বাজার নিম্নমুখী।

রুপালি ইলিশের ভিড়ে অন্য মাছের দাম বেশি চাইলে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বিক্রেতারা বলছেন, এখন ইলিশের সরবরাহের সঙ্গে ক্রেতাও বেড়েছে। আর ক্রেতারা বলছেন, দাম কম হওয়ায় পাতে তোলা যাচ্ছে সুস্বাদু ইলিশ।

সোমবার (২৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার পাইকারি মাছের আড়তে এক কেজি ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা করে বিক্রি হয়।

আর মাঝারি আকারের ৮০০ গ্রাম ওজনের একেকটি ইলিশের দাম ছিল ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৩০ থেকে ৪৮০ টাকা, ছোট ইলিশ বিক্রি হয় প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয় এক হাজার টাকা। আর এক কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছিল এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ১৫০ টাকা কেজিতে।

কারওয়ান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ভূপেন বলেন, ‘এখন নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। এ কারণে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এখন ইলিশের দাম কেজিতে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।’

একই কথা বলেন এ বাজারের আরেক ব্যবসায়ী আড়তদার হাসান। তার মতে, গত সপ্তাহ পর্যন্ত এক কেজি ওজনের যে ইলিশ ৯০০ বা এক হাজার টাকায় পাওয়া যেতো, এখন তা ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ কিনতে এই বাজারে আসেন সরকারি কর্মকর্তা হাবিব। তিনি বলেন, ‘পাইকারি বাজার থেকে মাছ কিনলে বাছাই করে নেয়া যায়, দামও কম থাকে। তাছাড়া এখন মৌসুম হওয়ায় দাম কম, তাই বেশি করে কিনতে আসা।’

এদিকে ইলিশের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে অন্যসব মাছের। এ বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে পাইকারিতে প্রতি কেজি শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৬০ টাকা, কই মাছ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ টাকা, পাবদা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ৮০ থেকে ১১০ টাকা, রুই ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের মাছের আড়তদার মজনু বলেন, ‘এখন বাজারে ইলিশের দাম কমায় অন্য মাছের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ কম। অন্য মাছের দাম বেশি চাইলে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে ইলিশের দিকে ঝুঁকছেন।’